Friday, May 29, 2015

চম্পাতলী নামকরণের অন্তরালে



চম্পাতলী নামকরণের অন্তরালে

মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী

----------------------

স্বপ্ন-স্থান : চম্পাতলী, শাহনগর, লেলাং,
চম্পাতলী, লেলাং, শাহনগর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ


চম্পাতলীর প্রতিষ্ঠাতা
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী

চম্পাতলী - বাংলাদেশস্থ চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানা / উপজিলার অন্তর্গত লেলাং ইউনিয়নের অধীন শাহনগর গ্রামের একটি স্থানের নাম । যার বুক চিড়ে চলে গেছে তিন দিকে তিনটি রাস্তা । যেখানে রয়েছে একটা যাত্রীবাহী গাড়ী সমুহের জন্য একটা স্টপেজ বা নির্ধারিত স্থান । গহিরা - হেয়াকো সড়কের অনেকগুলো গাড়ী স্টপেজের মধ্যে অন্যতম একটা স্টপেজ এই চম্পাতলী ।
এ স্থান থেকে একটা রাস্তা উত্তর দিকে উপজিলা সদর ও পৌরসভা হয়ে চলে গেছে কাজির হাট , নারায়ণ হাটের উপর দিয়ে হেয়াকো হয়ে মিলিত হয়েছে রামগড় - ফেনী রোডে । আর একটা রাস্তা দক্ষিণমুখী হয়ে চলে গেছে নানুপুর , আজাদী বাজার , মুহাম্মদ তকির হাট হয়ে রাউজানের গহিরা গিয়ে মিলিত হয়েছে রাউজান - হাটহাজারী রোডে । অপর রাস্তাটি পূর্বদিক হয়ে ত্রিমুখী সংযোগ রক্ষা করে চলে গেছে উত্তর দিকে টার্ণ নিয়ে সন্যাসীর হাটের উপর দিয়ে ফেনুয়া কর্ণফুলি চা বাগান হয়ে মিলিত হয়েছে খাগড়াছড়ি - রাঙ্গামাটি রোডে এবং বিপরিত মুখী হয়ে আর একটা রাস্তা চলে গেছে শাহনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় , শাহনগর কিন্ডারগার্টেন ও শাহনগর বহুমুখী উচ্ছ বিদ্যালয়ের বুক চিড়ে ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে একটা রোড দক্ষিণ দিকে গিয়ে মিলিত হয়েছে হেয়াকো-গহিরা রোডে এবং আরকটি রোড পুর্ব দিকে গিয়ে প্রবেশ করেছে গোপালঘাটা গ্রামে ।
শাহনগর গ্রামে চম্পাতলী নামে ১৭ই মার্চ ১৯৯৯ ইং পূর্বে কোন স্থান ছিলনা । একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্য দিয়ে এ স্থানটি বিগত ১৭ই মার্চ ১৯৯৯ ইং মানুষের অসভ্য আচরণের জবাব দিতে স্বগৌরবে আত্মপ্রকাশ করে । পূর্বে এ স্থানটিকে মানুষ তাচ্ছিল্যের সহিত " পোতানার ঘাটা " নামে অভিহীত করতো । যদিও পোতন বা মোহাম্মদ পোতন নামের এক প্রসিদ্ধ ব্যক্তির নামে এ স্থানটি পরিচিত ছিল , কিন্ত অসভ্য মানুষগুলো সেই মহৎপ্রাণ মানুষটির পোতন নামটি বিকৃত করে অত্যান্ত তাচ্ছিল্যের সহিত " কন্ডমের ( ফোতানা )উপাধি দিয়ে ব্যঙ্গ করে এই স্থানের মুল নামটি না বলে বলতো ফোতানার ঘাটা । মোহাম্মদ পোতন ছিলেন আমাদের বংশধারার উর্দধতন পঞ্চম পুরুষ । যিনি ছিলেন এলাকার একজন প্রভাবশালী ধার্মিক জনহিতৈষী মানুষ । চম্পাতলীর পশ্চিম পার্শ লাগোয়া বাড়িটিই তাঁর বংশধরদের বর্তমান অবস্থান । ২৩ টি ঘর সমৃদ্ধ বৃহৎ এ বাড়িটিই মোহাম্মদ পোতনের নামানুষারে পোতন গাজীর বাড়ি নামে অভিহীত । আর এ বাড়ির সম্মুখেই এ স্থানের অবস্থান এবং মোহাম্মদ পোতনের প্রসিদ্ধ ডাক নাম ও সর্বত্র তার পরিচিতি ছিল বিধায় এ স্থানটি তাঁর নামেই প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল ।
কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের পর এ স্থানের মুল নামটি আস্তে আস্তে বিকৃত রূপ ধারণ করতে থাকে । পরে এমন অবস্থায় উপনিত হয় যে , মোহাম্মদ পোতনের বর্তমান বংশধরদের কানে এই স্থানটির বিকৃত নাম শুনলে গায়ে শুল দেয়ার মতো যন্ত্রণায় ছটপট করতে থাকে । তা থেকে আমি ও রেহায় পাইনি । কারণ আমিও মোহাম্মদ পোতনের বংশধর ।
পোতনের একজন বংশধর হয়ে তাঁর নামের এই ধরণের বিকৃতি , এই ধরণের ব্যঙ্গত্বতা আমার সহ্য হচ্ছিলোনা । খুঁজতে লাগলাম এ থেকে পরিত্রাণের উপায় । অবশেষে একদিন সেই সুবর্ণ সুযোগ এসে গেলো । ঘোষণা হলো - আজাদি বাজার থেকে থানা সদর পর্যন্ত আমাদের সম্মুখ দিয়ে পাবলিকদের পরিবহনকারী জীপ সার্ভিস চালু হচ্ছে । আমি খুশিতে আত্মহারা । এই সুযোগ হারানো চলবেনা । তখন আমি একটা অটো রাইসমিল দিয়ে গ্রামেই অবস্থান করছি । রাস্তার উপর দোকান বিধায় সবকিছু আমার নাগালে । ২০ দিন পূর্বেই শিওর হলাম ১৭ই মার্চ আমার স্বপ্ন পুরনের দিন । জীপ সার্ভিস চালু হচ্ছে ১৭ তারিখ ৩৭৫ টাকা দিয়ে ছোট ছোট তিনটা সাইনবোর্ড বানিয়ে এনে ৫ দিন পূর্বেই রেখে দিলাম । অবশেষে এসে গেল সেই তারিখ । সকাল সাড়ে আটটায় জীপ আসবে আমার সামনেই । তাই ভোর ৬টায় উটে ত্রিমুখী স্থানে দাড়িয়ে থাকা গাছটিতে সাইনবোর্ডগুলো লাগিয়ে দিলাম । জীপ আসার অপেক্ষায় বসে থাকলাম । ঠিক সাড়ে আটটায় জীপ যখন আসল দাঁড় করালাম । ড্রাইভার ও হেলপারকে ৩০০ টাকায় কনটাক্ট করলাম সাইনবোর্ড দেখিয়ে , যাতে তারা এখানে বিরতি দেয় ২ মিনিট এবং চম্পাতলি স্টপেজ হিসাবে এ স্থানটি পরিচয় করায় । এভাবে ৮টি জীপের চালক ও হেলপারকে সর্বমোট সাড়ে চার হাজার টাকা দিয়ে ফোতানার ঘাটাকে পরিবর্তন করে পরিচিতি করালাম চম্পাতলী নামে ।
যখন নামটি লোকের মুখে রটতে থাকলো আর একটা পদ্ধতি গ্রহণ করলাম - ত্রিমুখী রাস্তার মোড়টিতে ১১টি চম্পা ফুলের গাছ রোপন করলাম , যাতে স্থানটির নাম আরও ফুটে উঠে । এভাবে ফোতানার ঘাটা আজ চম্পাতলীতে পরিণত হয়ে গেলো । আর চম্পাতলী নামকরণকারী লোকটি হয়ে গেলো সকলের চক্ষুশুল ।
আজ এই লেখা প্রকাশকালে সেইসব মানুষগুলোকে স্মরণ করছি । যারা তখন ছিল ছোট । অথচ তারা আমার এই বৃহৎ কাজের সহযোদ্ধা হয়ে সর্বোত ভাবে সহযোগীতা করে আমার কাজকে সহজ করে দিয়েছিল ।
হে , বন্ধুরা !

আমি তোমাদের ভুলিনি আজও ,
ভুলবনা কোনদিন ,
রয়ে যাবে অমর তোমরা ,
চম্পাতলী থাকবে যতদিন ।
===============

3 comments:

  1. Rent service for cars is helpful for them who have no car he need. rent a car in dhaka makes it easy. And We provide on time transportation services for the entire Bangladesh specially Dhaka City.

    ReplyDelete
  2. Car rental services are perfect for those who don’t own a vehicle but need one. Renting a car in Dhaka makes getting around easy and convenient. We offer timely transportation services throughout Bangladesh, with a special focus on Dhaka City.

    ReplyDelete
  3. Dew Interior Design is a creative and full-service interior design firm dedicated to transforming spaces into inspiring environments. We believe that every interior tells a story — one that reflects personality, functionality, and aesthetics. From residential homes to commercial spaces, Dew Interior Design provides complete solutions including concept development, 3D visualization, material sourcing, and project execution. Our team of expert designers combines innovation with practicality to ensure every project is not only visually stunning but also comfortable and sustainable. Whether you’re building a new space or revamping an old one, Dew Interior Design is here to bring your vision to life — beautifully and seamlessly.

    ReplyDelete